![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh2ourFJPTBWNQVnUYnIGCzIv7GwNtfnxOTguJ-r8KQz0SIKGpXzShikO3vgcBn6izzyewu8VTWVmzLqbMcRBSJIHQnumY0_rn1suKLVNI2F07l0f0BIXNFSY42oD7kqDrEwQEAQwtXe38/s320/Tutul.jpg)
পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার নিশারুল আরিফ কালের কণ্ঠকে বলেন, বিমানবালা তুতুল আরেক বিমানবালার মাধ্যমে এই পথে এসেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই বিমানবালা বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। দেশে ফিরলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে। এ ছাড়া সুশান্ত নামের যে ব্যক্তি তুতুলের কাছে এসব মুদ্রা পেঁৗছে দিয়েছিল, তাকে ধরতে কয়েক দফা অভিযান চালানো হয়েছে। সুশান্ত আটক হওয়া মুদ্রার মালিক মামুনের কর্মচারী। তুতুলই বলেছেন, মুদ্রার আসল মালিক মামুন। রিমান্ড শেষে আজ তুতুলকে আবারও আদালতে হাজির করা হবে।
পুলিশ সূত্র জানায়, তদন্ত ও তুতুলকে জিজ্ঞাসাবাদে মুদ্রা পাচারকারী সিন্ডিকেটের দুইজন ব্যবসায়ী, দুইজন বিমানবালা ও বিমানবালা সালমার স্বামী শফিকুলের নাম পাওয়া গেছে। পুলিশ মনে করছে, সালমাকে পাওয়া গেলে আরো অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে সক্রিয় মুদ্রা পাচার সিন্ডিকেট সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া গেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তুতুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই সালমার স্বামী শফিকুলকে গ্রেপ্তার করে গতকাল রবিবার তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তিনি 'বিমানবন্দরের মাফিয়া' বলে পরিচিত।
মুদ্রা আটকের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম শফিক গতকাল সালমার স্বামী শফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া কামরুন্নাহার তুতুলের দেওয়া তথ্য ও মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বুধবার ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানবালা কামরুন্নাহার তুতুলকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যমানের বিদেশি মুদ্রাসহ আটক করা হয়। ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে লন্ডন রুটের বাংলাদেশ বিমানের বিজি-০১৫ ফ্লাইটের বিমানবালার দায়িত্ব পালনের কথা ছিল তাঁর। ওই সময় লাগেজ ছাড়া তুতুলের শরীর তল্লাশি করেও মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।
No comments:
Post a Comment