ঈশ্বরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থী স্বর্ণা খাতুন (১৮) প্রেমিকের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন। পাষণ্ড প্রেমিক খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে তার লাশ একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। রোববার গভীর রাতে ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের দিয়াড় বাঘইল মণ্ডলপাড়া এলাকায় এই মর্মন্তুদ হত্যার ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার সকালে পুলিশ ক্ষতবিক্ষত লাশটি উদ্ধার করেছে। জানা গেছে, ওই এলাকার শহিদুল্লা মুন্সির মেয়ে স্বর্ণার সঙ্গে একই এলাকার পলান মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন আনুর ছিল দীর্ঘদিনের প্রেম। স্বর্ণার মা মাজেদা বেগম সমকালকে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় স্বর্ণা বাড়িতেই পড়াশোনা করছিল। কথা আছে বলে আনু মোবাইল ফোনে স্বর্ণাকে বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও স্বর্ণাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে পাশের নান্টু মেম্বারের লেবু বাগানে রোজিনা খাতুন নামের এক প্রতিবেশী স্বর্ণার ঝুলন্ত ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পেয়ে বাড়িতে এসে খবর দেন।
স্বর্ণার বাবা রেলওয়ের পাকশী ডিইএন-১-এর ট্রলিম্যান শহিদুল্লা মুন্সি সমকালকে বলেন, আনুর সঙ্গে স্বর্ণার বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের মন দেওয়া-নেওয়া ছিল বলে তারা দু'জনের বিয়ে দেওয়ার জন্য মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে কয়েকদিন আগে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবও পাঠিয়েছিলেন। ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিয়েতে ৩ লাখ টাকা অথবা রেলওয়েতে একটি চাকরি যৌতুক হিসেবে দাবি করা হয়। এতে তিনি (শহিদুল্লা মুন্সি) অপারগতা প্রকাশ করলে বিয়ের কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে স্বর্ণা ও আনুর প্রেমের সম্পর্ক এবং যোগাযোগ ছিল আগের মতোই।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির প্রায় ১শ' গজ দূরের এক লেবু বাগানে একটি নিম গাছের সঙ্গে স্বর্ণার মরদেহ আধা ঝুলন্ত অবস্থায় কাত হয়ে আছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন। ডান চোখটি খুঁচিয়ে তুলে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। স্বর্ণার গায়ের সোয়েটারটি একটি লিচু গাছের ডালে ঝুলে ছিল, বাম হাতের আঙুল দিয়ে রক্ত ঝরছিল। স্বর্ণার গায়ে ছিল একটি হলুদ রঙের কামিজ ও পরনে ছিল লাল পায়জামা। ঘাতক প্রেমিক তাকে ওই বাগানেরই একটি নির্জন স্থানে পরিকল্পিতভাবে খুন করে তাকে বেশ কিছুদূর টেনে-হিঁচড়ে এনে তারই ওড়না দিয়ে গাছের সঙ্গে ঝোলানোর চেষ্টা করে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সামিউল আলম এ বিষয়ে সমকালকে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পুলিশ অপরাধীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্বর্ণার বাবা রেলওয়ের পাকশী ডিইএন-১-এর ট্রলিম্যান শহিদুল্লা মুন্সি সমকালকে বলেন, আনুর সঙ্গে স্বর্ণার বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের মন দেওয়া-নেওয়া ছিল বলে তারা দু'জনের বিয়ে দেওয়ার জন্য মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে কয়েকদিন আগে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবও পাঠিয়েছিলেন। ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিয়েতে ৩ লাখ টাকা অথবা রেলওয়েতে একটি চাকরি যৌতুক হিসেবে দাবি করা হয়। এতে তিনি (শহিদুল্লা মুন্সি) অপারগতা প্রকাশ করলে বিয়ের কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে স্বর্ণা ও আনুর প্রেমের সম্পর্ক এবং যোগাযোগ ছিল আগের মতোই।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির প্রায় ১শ' গজ দূরের এক লেবু বাগানে একটি নিম গাছের সঙ্গে স্বর্ণার মরদেহ আধা ঝুলন্ত অবস্থায় কাত হয়ে আছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন। ডান চোখটি খুঁচিয়ে তুলে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। স্বর্ণার গায়ের সোয়েটারটি একটি লিচু গাছের ডালে ঝুলে ছিল, বাম হাতের আঙুল দিয়ে রক্ত ঝরছিল। স্বর্ণার গায়ে ছিল একটি হলুদ রঙের কামিজ ও পরনে ছিল লাল পায়জামা। ঘাতক প্রেমিক তাকে ওই বাগানেরই একটি নির্জন স্থানে পরিকল্পিতভাবে খুন করে তাকে বেশ কিছুদূর টেনে-হিঁচড়ে এনে তারই ওড়না দিয়ে গাছের সঙ্গে ঝোলানোর চেষ্টা করে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সামিউল আলম এ বিষয়ে সমকালকে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পুলিশ অপরাধীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment