![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhUObhWO7MUm6U4ShQmTnSju7DxHF1giJF_uTlVUvLiWubKIp57W_0bv-VbHdsqAOJgsxyuNtdmc040YJu1wtjLSRx6Xvfq_TiFBW5p5SrO7LnWn4ASYFizoSgawQVdsGrvIq0Q1m7KRRQ/s400/Shorna.jpg)
স্বর্ণার বাবা রেলওয়ের পাকশী ডিইএন-১-এর ট্রলিম্যান শহিদুল্লা মুন্সি সমকালকে বলেন, আনুর সঙ্গে স্বর্ণার বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের মন দেওয়া-নেওয়া ছিল বলে তারা দু'জনের বিয়ে দেওয়ার জন্য মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে কয়েকদিন আগে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবও পাঠিয়েছিলেন। ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিয়েতে ৩ লাখ টাকা অথবা রেলওয়েতে একটি চাকরি যৌতুক হিসেবে দাবি করা হয়। এতে তিনি (শহিদুল্লা মুন্সি) অপারগতা প্রকাশ করলে বিয়ের কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে স্বর্ণা ও আনুর প্রেমের সম্পর্ক এবং যোগাযোগ ছিল আগের মতোই।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির প্রায় ১শ' গজ দূরের এক লেবু বাগানে একটি নিম গাছের সঙ্গে স্বর্ণার মরদেহ আধা ঝুলন্ত অবস্থায় কাত হয়ে আছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন। ডান চোখটি খুঁচিয়ে তুলে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। স্বর্ণার গায়ের সোয়েটারটি একটি লিচু গাছের ডালে ঝুলে ছিল, বাম হাতের আঙুল দিয়ে রক্ত ঝরছিল। স্বর্ণার গায়ে ছিল একটি হলুদ রঙের কামিজ ও পরনে ছিল লাল পায়জামা। ঘাতক প্রেমিক তাকে ওই বাগানেরই একটি নির্জন স্থানে পরিকল্পিতভাবে খুন করে তাকে বেশ কিছুদূর টেনে-হিঁচড়ে এনে তারই ওড়না দিয়ে গাছের সঙ্গে ঝোলানোর চেষ্টা করে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সামিউল আলম এ বিষয়ে সমকালকে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পুলিশ অপরাধীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment